পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কফি-কাজুবাদাম প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে প্রকল্প পরিচালক জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে পদে পদে নেয়া হয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয়। লুটপাট করা হয়েছে প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এতে চাষিরা যেমন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আগ্রহ হারাচ্ছেন, তেমনি পাহাড়ে সম্ভাবনাময় এ কফি-কাজুবাদামের ভবিষ্যতকেও তোলা হয়েছে অনিশ্চিত করে।
এদিকে, প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ খাত অবাস্তবায়িত রেখেই চলতি বছরের জুনে শেষ হয়ে গেছে এ প্রকল্পের মেয়াদ। এরই সাথে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি অধিকাংশ বাগানের। অন্যদিকে, প্রকল্প পরিচালক নিজের দুর্নীতি ও প্রকল্প পরিচালনার ব্যর্থতা ঢাকতে তড়িঘড়ি করে ৪১ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেয়া হয়েছে বলে দাবি পিডির।
গত কয়েকদিন আগে চিম্বুক পাহাড়ের জামিনী পাড়া, রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়নের প্লেদয় ম্রো পাড়া, ছাংও পাড়া, রুমা উপজেলার বটতলী পাড়া ও ময়ুর পাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ধারে দু‘একটি আম বাগানের ফাঁকে ফাঁকে কফি বাগান রয়েছে। তবে সঠিক পরিচর্যার অভাবে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে বাগানগুলো। ১০ থেকে ১২ টি বাগান পরিদর্শনে গেলে শুধু মাত্র দু'একটি বাগানে এক হাজার লিটারের পানির ট্যাংক দেখা মেলে, তাও ট্যাংকটিতে ছিলো না পানি। পরে বটতলী পাড়া ও ময়ুর পাড়ায় উপকারভোগী হিসেবে কফি-কাজুবাদাম চাষিদের বাগান পরিদর্শণে গেলে সেখানেও একটি বাগান ছাড়া কোন বাগানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ প্রকল্পের তথ্য বলছে, বটতলী পাড়াতে ২১ পরিবার ও ময়ুর পাড়াতে ৫ পরিবার উপকারভোগী রয়েছে। অধিকাংশ চাষিদের অভিযোগ, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের জন্য চারা বিতরণের ছবি তুলতে তাদের নাম উপকারভোগী হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
তবে বটতলী পাড়ার বাসিন্দা ও কফি চাষি ক্যসাচিং মারমার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, একপাশে কৃষি বিভাগ থেকে দেয়া আরেক পাশে উন্নয়ন বোর্ড থেকে দেয়া কফি বাগান। দেখা মেলে একটি এক লিটারের পানির ট্যাঙ্কও। তিনি জানান, আমি কফি চারার সাথে পানির ট্যাঙ্কও পেয়েছি। সময় মত সেচ ও পরিচর্যার কারণে চারাগুলো এখনো বেঁচে আছে। তবে আমাদের পাড়ার ২১ জন চাষির মধ্যে বেশির ভাগ চাষির বাগানের অস্তিত্ব নেই। অফিস থেকে দেয়া যে যার নামের সাইনবোর্ড নিয়ে আমার বাগানে এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছে অফিসের লোকজন।
জানা যায়, পাহাড়ে সম্ভাবনাময় কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে গত ২০ ডিসেম্বর‘২০ অর্থবছরে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয় এ প্রকল্পের। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রথমে পহেলা জুলাই‘২০ অর্থবছর থেকে ৩০ জুন‘২৪ পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদে ৩৫ কোটি ৯০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হলেও প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য শতভাগ অর্জনের জন্য ২২ নভেম্বর‘২২ আরেক দফা প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্ধ বাড়িয়ে অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৪১ কোটি ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
প্রকল্পের তথ্য মতে, এক একর করে ১ হাজার ২শ জন কাজুবাদাম চাষি ও ৮শ জন কফি চাষিসহ এ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার ১২ উপজেলার মোট ২ হাজার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারকে অন্তর্ভূক্ত করে বাগান সৃজনের মাধ্যমে তাদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ করা হবে। এর মধ্যে শুধু বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানছি চার উপজেলার জন্যই বরাদ্ধ দেয়া হয় ১৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা।
কৃষকদের অভিযোগ, কফি ও কাজু বাদামের যে চারাগুলো তাদের দেয়া হয়েছে তা বেশির ভাগই অপরিপক্ক ও পরিবহণে আঘাতপ্রাপ্ত চারা। ফলে একদিকে অপরিপক্ক ও আঘাতপ্রাপ্ত চারা বিতরণ, অন্যদিকে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় রোপনের পরেই চারাগুলো মারা যায়। অথচ প্রতিটি বাগানে পানির ট্যাংক বসিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি বন্টন ব্যবস্থা ও সহজে প্রতিটি গাছের নিচে পানি প্রয়োগের জন্য ছোট ড্রিপার বা ইমিটারের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করার কথা রয়েছে। এছড়াও বাগানে ঘেরাবেড়ার মাধ্যমে বাগান সুরক্ষার জন্য বরাদ্ধ থাকলেও তা কৃষকদের দেয়া হয়নি।
তথ্য বলছে, প্রকল্পের আওতায় কফি ও কাজু বাদাম সম্পর্কে দক্ষতা অর্জনের জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমন, কৃষক প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, কৃষকের অভ্যন্তরীণ উদ্বুদ্ধকরন ভ্রমন, উন্নতমানের চারা, সার, কীটনাশক, কৃষি সরঞ্জাম, জিএফএস এর মাধ্যমে পানি সরবরাহ, ড্রিপ ইরিগেশন (বিন্দু সেচ), বাঁধ নির্মাণ, পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক, কফি প্রক্রিয়াকরণ মেশিন, কাজুবাদাম প্রক্রিয়াকরণ মেশিনসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিজ উপকরণ সরবরাহসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দেবার কথা প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত কৃষকদের। কিন্তু পাহাড়ের কৃষদের সরলতার সুযোগে অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে বরাদ্ধ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন প্রকল্প পরিচালক জসীম উদ্দিন।
এদিকে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ পরিদর্শনে আসলে যাতে এ প্রকল্পের অগ্রগতি দেখানো যায় সেজন্য জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলার কিছু এলাকায় সড়কের পাশে কফি ও কাজুবাদামের বাগান ঠিক রাখা হয়েছে। এর বাইরে শুধুমাত্র কাগজ কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেই প্রকল্পের টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন বিতর্কিত এ প্রকল্প পরিচালক।
পাহাড়ে সম্ভাবনাময় কফি-কাজুবাদাম চাষের সম্প্রসারণ কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধের পরও এ প্রকল্পে কোন সফলতা আসছে না। পরিবর্তন আসছে না কৃষকদের ভাগ্যে। এতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও ২০১৫ সালে প্রায় ৬৩ কোটি ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিত্যক্ত পাহাড়গুলোতে মিশ্র ফল চাষ প্রকল্প, ২০১৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আয়বর্ধক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা ও উন্নত জাতের বাঁশের উৎপাদন বাড়াতে ২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প, ২০১৮ সালে ৩৪ কোটি ৮৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় উচ্চ মূল্যের মসলা চাষ প্রকল্প, ২০১৯ সালে ৪২কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকের দারিদ্র্য বিমোচন শীর্ষক প্রকল্পসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের শতকোটি টাকা প্রকল্প গ্রহন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
প্রান্তিক কৃষকদের আয়বর্ধক ও দারিদ্র্য হ্রাস করণের লক্ষ্যে প্রতি বছর শতকোটি টাকার নানা প্রকল্প গ্রহন করা হলেও জীবনমান উন্নয়ন হয়নি পার্বত্য অঞ্চলের কৃষকদের। কৃষকদের মাথা বিক্রি করে উল্টো সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকল্প পরিচালকসহ কর্মকর্তাদের ভাগ্যেই পরিবর্তন হয়েছে। মূলত লুটপাট করে খাওয়ার জন্যই এসব প্রকল্প গ্রহন করে থাকে বলে মনে করছেন অনেকে।
অনেক কৃষক বলেছেন, তাদের অনেক সুযোগ সুবিধা দেবার কথা থাকলেও অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে বরাদ্ধের টাকা পিডির পকেটে গেছে। এতে কৃষকরা যেমন বঞ্চিত হয়েছে নানা সুযোগ সুবিধা থেকে, তেমনি কোন কাজে আসেনি সরকারের অর্ধশত কোটি টাকার প্রকল্প। ভবিষ্যতে এমন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে নতুন কোন প্রকল্পে দায়িত্ব না দেয়ারও দাবি করেন তারা।
রুমার বটতলী পাড়ার বাসিন্দা মংক্য মারমা জানান, চারা পেয়েছি ঠিক, তবে অসময়ে। পাইনি পানি জমানোর মত কোন উপকরণ। অনেক যত্ন করে চারাগুলো রোপন করেছি। কিন্তু সময় মত পানি দিতে না পারায় চারাগুলো বাঁচানো যায়নি। বাগানে এখন ৬ থেকে ৬ টার মত চারা আছে।
ময়ুর পাড়ার বাসিন্দা ও কাজুবাদাম চাষি আচমং মারমা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, এ ধরনের প্রকল্প কৃষকদের উন্নয়নের জন্য নেয়া হয়নি, মূলত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্যই নেয়া হয়েছে। উন্নয়ন বোর্ডের গৃহিত কোন প্রকল্পে সঠিক মত তদারকি করা হয় না, দুর্নীতি-অনিয়মের তদন্ত হয় না। তাই যেকোন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেই কাজের কোন দৃশ্যমান থাকে না। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার।
ময়ুর পাড়ার আর এক বাসিন্দা নারী কাজুবাদাম চাষি মুইংক্য মারমা বলেন, গ্রীষ্মের সময় পাহাড়ে তীব্র পানি সংকট থাকে। এ সময়েই কিছু মরাধরা চারা দিয়ে গেছে উন্নয়ন বোর্ড থেকে। চারাগুলো কিভাবে বাঁচাবো? একটি ছোট ড্রামওতো দেয়নি আমাদের। এরকম দায়সাড়া প্রকল্প জানলে উপকারভোগীর তালিকায় নামও দিতাম না। শুধু শুধু আমাদের মাথা বিক্রি করে কর্মকর্তারা প্রকল্পের টাকায় পকেট ভারী করেছে। আমাদের ভাগ্য উন্নয়ন হয় না। তদন্ত করে প্রকল্প থেকে লুটে নেয়া অর্থ জব্দ করে সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানান তিনি।
রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের প্লেদয় ম্রো পাড়ার বাসিন্দা খামচিয়াং ম্রো বলেন, আমি এ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত চাষি না। তবে মাঝেমধ্যে দেখি, বড় বড় কর্তারা শুধুমাত্র রাস্তার পাশে থাকা দু'একটি ভাল বাগান দেখে ছবি তুলে চলে যান। কিন্তু দুর্গম এলাকার কৃষকদের বাগানে যেতে দেখি না। যদি দূর্গম এলাকায় তদারকি সম্ভব না হয়, তবে এরকম লোক দেখানো প্রকল্প না নেয়াই ভালো। এসব প্রকল্পের নামে অর্থ লুটপাট ছাড়া কিছুই না।
এদিকে, প্রকল্প এলাকাগুলোতে (বাগানে) অনেক চাষিদের করলার ক্ষেত, জুম ও কলা বাগানসহ নানা মৌসুমি ফসলের ক্ষেত-খামার করতে দেখা গেছে। এসব বাগানে পাওয়া যায়নি কোন চারার অস্তিত্ব।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কফি-কাজুবাদাম প্রকল্পে রুমা ও থানছিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী অংথুই চিং মারমা বলেন, এ প্রকল্পে কোন খাতে কি ধরা আছে আমি কিছুই জানি না। আমাকে মাত্র ১২ টি পানির ট্যাঙ্ক, স্প্রে মেশিন, সারসহ আনুষাঙ্গিক কিছু উপকরণ দিয়েছে সেগুলো কৃষদের দিয়েছি। আমি পিডি স্যারের(প্রকল্প পরিচালক) কথা মত ওই ১২টি ট্যাঙ্ক রাস্তার পাশে দৃশ্যমান এলাকায় দিয়েছি। যাতে কমকর্তারা পরির্দশন করতে আসলে ভালো কিছু দেখতে পান।
অভিযোগ আছে, এ প্রকল্প শেষ হওয়ার আগে ও পরে নিজের দুর্নীতির তথ্য ঢাকতে অর্থের বিনিময়ে কাজের শতভাগ বাস্তবায়ন দেখাতে ঢাকাসহ স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম কর্মীদের দিয়ে নানা পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনে ইতিবাচক সংবাদ করানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কফি-কাজুবাদাম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো: জসিম উদ্দিন প্রকল্পে ভূল ত্রুটি রয়েছে স্বীকার করে বলেন, প্রকল্প চলমান থাকাকালীন বেশ কিছু খাত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তাই ৪১ কোটি টাকা থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে কোন খাতের কত টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে দুর্নীতির তথ্য ঢাকতে অর্থের বিনিময়ে কাজের শতভাগ বাস্তবায়ন দেখাতে গণমাধ্যম কর্মীদের দিয়ে ইতিবাচক সংবাদ করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।