চকরিয়ায় কাসপা বিউটি পার্লারের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

রাজু দাশ, চকরিয়া,
 ছবি:
ছবি:

কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় কাসফা বিউটি পার্লারের কাজ না শিখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে টাকা ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি
কাসফা বিউটি পার্লারে বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শাওন ইয়াছমিন সুমি নামের এক নারী।

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, কাসফা বিউটি পার্লারে স্বত্বাধিকারী হাছনা হেনা (৪০) তার স্বামী হানিফ আক্তার চৌধুরী বিউটি পার্লারের কাজ শেখার জন্য ভর্তি হোন শাওন ইয়াছমিন সুমি নামের এক মহিলা। এসময় পার্লারের  ৬ মাসের মধ্যে বিউটি পার্লারের কাজ শিখিয়ে দিবে আশ্বাস দিয়ে ২০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে আমি বিউটি পার্লারে গেলেও পার্লারের কোন ধরণের কাজ না শিখায়ে প্রতারণা মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

ভুক্তভোগী শাওন ইয়াছমিন সুমি জানান, চকরিয়া পৌরশহরে 
কাসফা বিউটি পার্লারে স্বত্বাধিকারী হাছনা হেনা ও তার স্বামী হানিফ আক্তার চৌধুরী চরিত্রহীন, লম্পট, নারী ও ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারকারী ও সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন স্থানে বিউটি পার্লার দিয়ে বিউটি পার্লারের অজুহাতে বিভিন্ন অসহায় নারীদের বিউটি পার্লারে ভর্তি করেন এবং অসহায় মেয়েদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত করে অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা আদায় করা তাদের একমাত্র পেশা ও নেশা হয়। 
তিনি আরও জানান, তাদের এ অপকর্মে বিষয়ে আমি না জেনে কাসপা বিউটি পার্লারে গত মে মাসে বিউটি পার্লারের কাজ শেখার জন্য ভর্তি হয়। এবং পার্লারের মালিক
আমাকে ৬ মাসের মধ্যে বিউটি পার্লারের কাজ শিখিয়ে দিবে আশ্বাস দিয়ে আমার নিকট নগদ ২০ হাজার টাকা নেন।
পরে আমাকে কোন ধরণের কাজ না শেখাইলে আমার টাকা ফেরত চাইলেও তারা তা না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে, এমনকি নানা হুমকি-ধমকিও দিয়েছে। এভাবে বিগত ৩-৪ মাস ধরে তারা আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। কাসপা বিউটি পার্লারের মালিক হাছনা হেনা তার স্বামী হানিফ আক্তার চৌধুরীর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার টাকা ফেরত পাওয়ারসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

কাসপা বিউটি পার্লার স্বত্বাধিকারী হাছনা হেনা বলেন, তার সাথে চুক্তি ছিল দুই মাসের কিন্তু সে আমার পার্লারের কাজ শিখছেন তিন মাস। বিউটি পার্লারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##

বিষয়:

এলাকার খবর

সম্পর্কিত