সরকারি কোষাগার থেকে বেতন খেয়ে করেন রাজনীতি। নিজ এলাকায় জামাত শিবির পরিচয় ব্যবহার করে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে। ঠিকমতো নিজের সরকারি চাকরিটা না করে করেন নিজ এলাকায় অবৈধ বালুর ব্যবসা। গড়ে তুলেছেন অবৈধ বালুর সিন্ডিকেট।
বলছি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মেনক্য মেনকক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আরিফ উল্লাহ চৌধুরীর কথা।
বিদ্যালয়ের আশপাশের স্থানায়দের অভিযোগ, আরিফ উল্লাহ মাসে দুয়েকবার স্কুলে আসে। এসে হাজিরা খাতা আর বেতন খাতায় স্বাক্ষর করে আবার চলে যায়।
আরিফুল্লাহ কেন বিদ্যালয়ে ঠিক মতো আসে না বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তমাস ত্রিপুরার কাছ থেকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিচ্ছু বলতে পারবো না।
আলীকদমের বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ২০১৭ সাল থেকে ঐ বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছে। তখন থেকেই সে কোনদিন স্কুলে ঠিক মতো আসেনা। আলীকদমে যখন যে শিক্ষা অফিসার আসেন তখন তাকে ম্যানেজ করেই চলে আরিফ উল্লাহ।
আলিকদম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: কামাল হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন হলো মাত্র যোগদান করেছি। তাই আমার জানা নাই। তবে যদি অভিযোগ সত্যি হয় ব্যবস্থা নেবো।
আরিফুল্লাহর বাড়ি হচ্ছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা সদরের রশিদের পাড়ায়। তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম। তার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে স্কুলে না গিয়ে নিজের এলাকায় রাজনীতি করেন এবং এলাকায় অবৈধ বালুর ব্যবসার সাথেও জড়িত সে।
তার এক প্রতিবেশি জানায়, তাকে কোনদিন স্কুলে যেতে দেখিনা। এলাকায় জামাত শিবিরের নেতা দাবি করে জড়িয়ে পড়েছেন অবৈধ বালুর ব্যবসায়। কিছুদিন আগে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে অবৈধ বালুর মহাল দখল নিতে মারামারি করতে গিয়ে তার নামে একটি মামলাও হয় লামা থানায়। তাছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের যুবদল নেতাকে অপহরন করে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয় লোহাগাড়া থানায়।দতাছাড়াও তার নামে আরো দুটি মামলাসহ মোট আছে বলে জানায় এই প্রতিবেশি। বর্তমানে মামলা গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সে পলাতক রয়েছে এবং স্কুলেও যায় না।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফ উল্লাহ বলেন, গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে আমি স্কুলে গিয়েছিলাম, কিন্তু গত সপ্তাহে যেতে পারিনি, কারণ আমি ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। যে কেউ হয়তো আমার ব্যাপারে আপনাকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
বান্দরবানের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে দেখতেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।